কনশাস প্ল্যানেট
Conscious Planet is an effort to raise human consciousness and bring a sense of inclusiveness such that multifarious activities of our societies move into a conscious mode. An effort to align human activity to be supportive of nature and all life on our planet.
বিস্তারিত পড়ুন
মাটিকে বাঁচান অভিযান এর জন্য এভাবে কাজ করবে:
1
আমাদের মৃতপ্রায় মাটির দিকে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করানো।
2
Inspiring about 4 billion people (60% of the world’s electorate of 5.26 billion) to support policy redirections to safeguard, nurture and sustain soils.
3
মাটির জৈব উপাদান ন্যূনতম ৩-৬% পর্যন্ত বাড়ানো এবং বজায় রাখার দিকে ১৯৩টি দেশের জাতীয় নীতি পরিবর্তন করা।
সদগুরু
Yogi, Mystic and Visionary, Sadhguru is one of the most influential people of our times. He has undertaken some gargantuan challenges, work that has been as sweeping as it has been varied.
যদিও গোড়া থেকেই ওনার সমস্ত প্রচেষ্টার সারমর্ম ছিল : মানব চেতনার উত্তরণ। বিগত চার দশকে, সদগুরু বিশ্বব্যাপী ১৬ কোটিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় ওনার সংস্থাগুলোর মাধ্যমে পৃথিবী জুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভাল-থাকা 'র প্রযুক্তি অর্পণ করেছেন। সদগুরুকে ৩ টি রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে যা মধ্যে অন্যতম হল দেশের প্রতি বিশিষ্ট অবদানের জন্য প্রাপ্ত "পদ্ম বিভূষণ" ও ২০১০ সালে প্রাপ্ত ভারতের সর্বোচ্চ পরিবেশ-বিষয়ক পুরস্কার " ইন্দিরা গান্ধী পর্যাবরণ পুরস্কার"।
বিস্তারিত পড়ুন
মাটিকে বাঁচান: এক অভিযান যা ২৪ বছর আগে শুরু হয়েছিল
আজ তিন দশক ধরে সদগুরু ক্রমাগত মাটির গুরুত্ব এবং মাটি বিলুপ্তির ভয়ঙ্কর ঝুঁকির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করানোর চেষ্টা করে আসছেন। তিনি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক জনসভায় বারবার বলে আসছেন: "মাটি আমাদের জীবন, আমাদের নিজস্ব দেহ। এবং যদি আমরা মাটিকে ত্যাগ করি, তাহলে অনেক উপায়েই , আমরা গ্রহকেও পরিত্যাগ করবো।"
মাটিকে কে বাঁচাবে?
১৯৯০ এর দশক। গ্রামীণ তামিলনাড়ু। একদল মানুষ চোখ বন্ধ করে একটি সুবিশাল গাছের ঘনপাতার ছায়ায় বসেছিলেন। কিছুক্ষণ আগেই, তারা একটি খোলা জায়গায় বসে ছিলেন, গরমে শুকিয়ে গিয়েছিলেন এবং গরমের অস্বস্তিতে ঘামছিলেন _ দক্ষিণ ভারতীয় সূর্যের তীব্রতাকে স্বমহিমায় অনুভব করেছিলেন আর কি। কিন্তু এখন বয়ে চলা শীতল বাতাসের স্পর্শে ও সবুজের ছায়ায় বসে, তারা এর বাস্তবিক সারমর্ম এবং বড় বৃক্ষের আশীর্বাদকে বুঝতে পারছিলেন।
সদগুরু তাদের একটি ধ্যানের মধ্য দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে তারা গাছের সাথে শ্বাস-প্রশ্বাসের আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াটির প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন। নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ছাড়া কার্বন ডাই অক্সাইড গাছ শ্বাস হিসাবে নেয়, এবং শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে যে অক্সিজেন নেওয়া হয় তা গাছ নিঃশ্বাস হিসাবে ছাড়ে। একটি অনুভবের প্রক্রিয়া দ্বারা তারা স্পষ্টভাবে দেখেছিলেন যে তাদের শ্বাসযন্ত্রের অর্ধেকটি বাইরে সেখানে ঝুলছে। এই সেই প্রথমদিকের দিন যখন সদগুরু সবেমাত্র গাছ লাগানো শুরু করেছিলেন – আর তাঁর ভাষায় এটাই ছিল গাছ পোঁতার জন্য "সবচেয়ে কঠিন জায়গা – মানুষের মাথা"। সমস্ত রকম জীবনের সাথে একতার এই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতাটি উদ্যমী স্বেচ্ছাসেবকদের প্রথম দলটিকে জাগিয়ে তুলেছিল আর এনারাই আমাদের গ্রহকে পুনরুদ্ধার করার আন্দোলনের পথপ্রদর্শক।
What began with a few thousand volunteers in the 1990s in the form of Vanashree, an eco-drive aimed at greening the Velliangiri Hills, soon grew into Project GreenHands, a large state-wide campaign with millions of volunteers across Tamil Nadu in the first decade of 2000s. In 2017, when Sadhguru led the incredible Rally for Rivers, it snowballed into the largest environmental movement on the planet supported by 162 million Indians, further leading to intense on-ground activity with the extremely hands-on, proof-of-concept project Cauvery Calling. Now, it will include billions of global citizens in an unprecedented movement to create a Conscious Planet and Save Soil. Sadhguru’s mission to reach 4 billion people on Earth has been the product of three decades of work and evolution.
এই অভিযানের পথ চলায় যেভাবে অসংখ্য মানুষ অনুপ্রাণিত হয়েছেন সেটা নিঃসন্দেহেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পাওনাগুলির মধ্যে একটি। স্বয়ং অভিযানটিও সময়ের সাথে যেভাবে আরও প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ এক পাওনা। বহু স্থানীয় সম্প্রদায়, সংস্থা, কৃষক, স্কুল এবং রাজ্য সরকারকে সহায়তা করা থেকে শুরু করে ভারতের জন্য নদী বিষয়ক জাতীয় নীতি গঠনে সহায়তা করা এবং এখন পরিবেশ বিষয়ক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশ্ব নেতা এবং সরকারের সাথে কাজ করা - গত তিন দশকে অভিযানটি অভাবনীয় অগ্রগতি করেছে।
মাটিকে বাঁচান বা সেভ সয়েল অভিযানটি হল সমগ্র গণতান্ত্রিক বিশ্বের নাগরিকদের একযোগে এক কণ্ঠে কথা বলার জন্য এবং পৃথিবীর স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারকে সুনিশ্চিত করার এক অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা। যদি পরিবেশরক্ষার বিষয়গুলি নির্বাচনী বিষয় হয়ে ওঠে, যদি জনগণের সমর্থন দেখে সরকারেরা মাটির সুরক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদী নীতি আনতে আত্মবিশ্বাস পায়, যদি বিভিন্ন ব্যবসাবাণিজ্য, বিভিন্ন সংস্থা, সতন্ত্র ব্যক্তি মানুষেরা এবং সরকারেরা মাটির স্বাস্থ্যের বিষয়কে প্রাথমিক অগ্রাধিকার দেয় – কেবল তখনই এই টেকসই প্রচেষ্টাটি সফল হবে৷
এটি গ্রীনহেডস থেকে গ্রিন হ্যান্ডস হয়ে গ্রিনহার্টস পর্যন্ত বিস্তৃত একটি যাত্রাপথ। তাহলে মাটিকে বাঁচাবে কে? আমাদের প্রত্যেকেই।
আসুন একে সম্ভব করে তুলি!
আসুন একে সম্ভব করে তুলি!